অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ করবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৭ জন উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এদিকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শপথ ঘিরে বিকেল থেকেই বঙ্গভবনের সামনে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে। সন্ধ্যার পর সেই ভিড় আরও কয়েকগুণ বাড়ে। এতে বঙ্গভবনে আসা উপদেষ্টাসহ অন্যান্য অতিথিদের গাড়ি প্রবেশ করাতে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীকে বেগ পেতে হয়।
এসব উৎসুক জনতাকে মোবাইলে ভিডিও, ছবি ধারণ করতে দেখা যায়। অনেকে আবার প্লেকার্ড নিয়েও চলে আসেন। যেখানে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে বিভিন্ন কথা লেখা ছিল। আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বহনকারী সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি যখন ভেতরে প্রবেশ করে তখন উৎসুক জনতা হাত নাড়িয়ে ও চিৎকার দিয়ে তাদের অভিবাদন জানান।
আবার র্যাবের গাড়ি দেখে তাদের ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এরই মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছেন। বিকেল থেকেই অতিথিরা বঙ্গভবনে আসতে থাকেন। সর্বশেষ রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গাড়িবহর বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপরই বঙ্গভবনে প্রবেশের পথ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উপদেষ্টা পদে থাকছেন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এছাড়া উপদেষ্টা পদে শপথ নিচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদিপ চাকমা, উন্নয়নকর্মী (উবিনীগ) ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ ও ফারুকী আযম।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তালিকা পাওয়া গেছে।