
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পরও অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে অমানবিক হামলা ও হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
মিডলইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো আল-রাশিদ সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এ সড়ক ব্যবহার করে দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার চেষ্টা করলে, ইসরায়েলি সেনারা তাদের ফেরা ঠেকাতে গুলি ও গোলা ছুড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ভোররাত থেকে গাজা সিটি ও খান ইউনিসে দেশটির বিমান ও আর্টিলারির ব্যাপক গোলাবর্ষণে অন্তত নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
এদিকে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এ চুক্তির ফলে গাজাবাসীর শান্তির প্রত্যাশা থাকলেও, রাতভর তীব্র বিস্ফোরণ ও আগুনে গাজার আকাশ আলোকিত হতে দেখা যায়। এমনকি ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোন থেকেও গাজা শহরের বেসামরিক লোকজনের ওপর বোমা ফেলা হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ আলোচনার পর বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘প্রথম ধাপ’ চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। এই চুক্তিতে জিম্মিদের মুক্তি এবং মানবিক ত্রাণ সরবরাহের বিনিময়ে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের শর্ত রয়েছে। তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, এই চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরই কেবল কার্যকর হবে, যা এখনও সম্পন্ন হয়নি। এই বিলম্বের সুযোগেই গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা যেখানে অবস্থান করছে সেখানকার আশপাশের এলাকায় যেন কেউ না যান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই সাধারণ নাগরিক।