চুনারুঘাটে গলা কাটা অবস্থায় ১০ বছরের শিশু স্বপন মিয়ার দেহ উদ্ধারের পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল সে। টানা ৭দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
স্বপন মিয়া চুনারুঘাট পৌর এলাকার পাকুরিয়া গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার (ওসি) মো. রাশেদুল হক।
তিনি জানান, গত ২৭ মার্চ সকালে দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিচনের জঙ্গলে স্বপনকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওইদিনই স্বপনের গলা কেটে দেয়ার অভিযোগে শান্ত মিয়া নামে এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় শিশুটির নানা নূর আলী চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করলে শান্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ওসি বলেন, এ মামলার একমাত্র আসামি কিশোর শান্ত মিয়া। পাওনা টাকা ও পারিবারিক মনোমালিন্যের জেরে স্বপনের গলা কেটে দেয় বলে অদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।