বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেশের ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারা শান্তিপ্রিয় এই দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে ১৭ বছরে দেশের আইন-বিচার ও অর্থনীতিসহ সকল বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর সিলেটে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় নি। একটি চক্র অর্থাৎ পতিত যে সরকার তাদের লোকেরাই পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ঘটনার নাটক সাজিয়ে তারা এটাকে প্রচার করছে।
তিনি আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতা ও সাংবাদিকদের স্মরণে বলেন, আমি স্মরণ করতে চাই সেসব বীর শহীদদের, যারা এই ভয়াবহ স্বৈরাচারী সরকারের পতনের আন্দোলনে শাহাদাত বরণ করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই সিলেটের বীর ছাত্র জনতাকে, যারা সিলেটের আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক মহলকে, যারা ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছেন এবং পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৪ আগস্ট) সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সিলেট রেজিষ্টারী মাঠ থেকে গণমিছিল পূর্বেক সমাবেশে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। এই দেশ আমাদের সবার একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল দেশের বিরুদ্ধে আবারও গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সেই ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবন্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের যে ক্ষতি সাধিত করেছে তা পুরোন করতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো সু-সংগঠিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে হবে কারণ আওয়ামী লীগের দোষররা এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবন্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দীর্ঘ ২যুগ পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার পালিয়েছে সেই স্বৈরাচারকে আর মাতা তুলে দাড়াতে দেওয়া ঠিক হবে না। আসুন সকলে মিলে এগিয়ে যায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
সমাবেশে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, দেশের মানুষ আজ শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছে। বিগত ১৭ বছর মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি যা ফিরে পেতে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে করতে হয়েছে। আমাদের সবাইকে আন্তরিক সহিত কাজ করতে হবে দেশকে সমৃদ্ধশীল করে গড়ে তুলতে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় আয়োজিত গণমিছিল পূর্বের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।