বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে দলীয় বাহিনীর
ন্যয় ব্যবহার করছে। বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিকেও সরকার ভয় পায়। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে দিয়ে কর্মসূচি পালনে বাধাঁ দিয়েছে। বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নিপীড়ন করে সরকার ক্ষান্ত হয়নি। সত্য প্রকাশ করায় গণমাধ্যমের উপরও সরকারের জুলুমের খড়গ নেমে এসেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার রাজপথে অবস্থান দেখে সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। যতই জুলুম নিপীড়ন ও ষড়ন্ত্র হোকনা কেন সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। জনতার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই। তারা জানে জনগণের ভোটে আওয়ামীলীগ
কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। তাই জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতেই সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে। এমনিতেই দেশপরিচালনায় সরকারের সীমাহিন ব্যর্থতা ও দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ভোটচুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার
ফ্যাসিবাদী স্বপ্ন দেশপ্রেমিক জনতা পূরণ হতে দিবেনা। যত দ্রুত ক্ষমতাসীন সরকার বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবী মেনে নিবে, ততই সরকারের জন্য কল্যাণজনক হবে। অন্যথায়
সরকার পালানোর পথও খুঁেজ পাবেনা।
তিনি শনিবার বিকেলে নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রাঙ্গনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত
অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ
হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে সিলেট মহানগর বিএনপি, ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও বিএনপি অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের সকল স্তরের বিপুল
সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং পূর্বঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজনের পুলিশ বাধাঁ দেয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশী বাধাঁ উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ভবনের সামনে কর্মসূচী পালিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য গবেষণা সম্পাদক ও পেশাজীবি পরিষদ নেতা কাদের গণি চৌধুরী।
মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: আশরাফ আলীর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচীত কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয়
নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধৃুরী শামীম, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক
যুগ্ম আহ্বয়ায়ক কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈন উদ্দিন
সুহেল, সাবেক সদস্য আমির হোসেন, মাহবুব কাদির শাহী, মুকুল আহমদ মোর্শেদ, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, শামীম মজুমদার, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুবব, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক, সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফছর খান, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা ফাতেমা জামান রোজী প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন
কর্মসূচি চলছে। সিলেটে একই সময়ে কোর্ট পয়েন্টে আওয়ামী লীগের সমাবেশ চললেও আমাদের কর্মসূচীতে বাধাঁ দেয়া হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের