raising sylhet
ঢাকাশুক্রবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছাড়তে চান-এখন উদ্বগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪ ৩:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।কেউ কেউ ‘দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে’ গ্রেপ্তার হয়েছেন। শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছাড়তে চান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলার এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের অনেকেই এখন উদ্বগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কথা বলার সময় কেউ তাদের নামও প্রকাশ করতে চাননি।

গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— নেতাদের মধ্যে এখনও যারা দেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘আত্মগোপন’ করেছেন। এমন অবস্থায় গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে চরম নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এতে সাংগঠনিকভাবে দলটি রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, আমাদের দলের এখন দিশেহারা বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেছে। একমাস হয়ে গেল অথচ কেন্দ্র থেকে কার্যকর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলো না। ফোন দিলেও কেউ ধরে না। হামলা-মামলা সব মিলিয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নেতাকর্মীদের অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এখনকার যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, সেটার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের দায়ী করছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

Advertisements

আওয়ামী লীগের মধ্যমসারির এক নেতা বলেন, একমাস হয়ে গেল আমরা বাড়ি-ঘরে যেতে পারছি না, পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কবে এলাকায় ফিরতে পারবো, তাও জানি না। এলাকায় একটা বাজারে আমার দু’টো সার-সিমেন্টের দোকান এবং একটা স’ মিল আছে, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া। সবই দখল হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে সামনে কীভাবে চলবো, কোথায় দাঁড়াবো, সেটা নিয়েই চিন্তায় আছি।

ফরিদপুরের একজন আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, ক্ষমতা হারালে এমন অবস্থা যে হতে পারে, সেটা তো নেতাদের অজানা থাকার কথা না। তারাই তো এর জন্য দায়ী। ক্রিম খাইলো নেতারা, কোটি কোটি টাকা বানাইলো তারা; আর তাদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হইতেছে আমাদের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

৫ আগস্টের পর গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেশ সক্রিয় অবস্থানে দেখা গেলেও এখন আর সেটি চোখে পড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

তবে পরিস্থিতি যত খারাপই হোক, আওয়ামী লীগ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে জানাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতারা।

বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করা দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বিবিবি বাংলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একাত্তর সালে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কাজেই দেশ যতদিন থাকবে, আমাদের দলও থাকবে। আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো।

ঢাকায় আশ্রয় নেওয়া ফরিদপুরের একজন আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, আমরা নিজেরাই তো পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কাজ-কাম করবো কী করে? আর আয় না থাকলে সংসারের কী অবস্থা হয়, তা তো বুঝতেই পারছেন। টাকা-পয়সা যা রেখে এসেছিলাম সব এই কয়দিনে শেষ হয়ে গেছে। এখন বাজার করার মতো অবস্থাও নেই। ঘরে ছোট ছোট দু’টো ছেলে, তারা কী খাবে? মোবাইল করে আমার বউ প্রতিদিন কান্নাকাটি করে। কিন্তু এভাবে কতদিন থাকবে? ভাবতে গেলেই কান্না আসে। মনে হচ্ছে, রাজনীতি করাই পাপ হয়েছে। তাই আর রাজনীতি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কর্মীদের মধ্যে আরও অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের এক নেতা।

৭৪ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।