আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ শুরু হওয়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে যাত্রা বিবেচনায় টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হবে। কালোবাজারি রোধে সহজ ডটকম যেন টিকিট ব্লক করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, টিকিট বিক্রি শুরুর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সার্ভার ডাউনের কারণে সাইটে প্রবেশ করা যায় না। এগুলো সব সত্যি। এ টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে একটি সিন্ডিকেট জড়িত। যাদের সঙ্গে সহজের লোক ও আমাদের রেলের লোকও জড়িত। ইতোমধ্যে আমরা দুটি সিন্ডিকেটকে ধরে আইনের আওতায় এনেছি। ঠিকমতো টিকিটিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য সহজকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া টিকিট কালোবাজারি বন্ধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আর দুপুর ২টায় পশ্চিমাঞ্চলে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।