সিলেটে আবাসিক হোটেলগুলোতে শিক্ষার্থীদের তল্লাশি মার্টিন আবাসি হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপরত ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক ।
বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।
পুলিশের নিয়মিত অভিযানেও বন্ধ হয়নি বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ ।
সরকার পতনের পর সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত তিনদিনে নগরীর অন্তত তিনটি হোটেলে তল্লাশি করেছে শিক্ষার্থীরা। আটক হচ্ছেন নারী-পুরুষসহ অনেকেই। এতে আতঙ্কে রয়েছেন ‘অপর্কমে’ জড়িত হোটেল মালিকরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকার সিতারা আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় ৩ নারী ও একজন পুরুষকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। এসময় সিতারা হোটেলের ম্যানেজার পালিয়ে যান। এসময় দুটি কক্ষে অসামাজিক কার্যকলাপরত ৩ নারী ও ১ পুরুষকে আটক করে ছাত্ররা।
এর আগে রবিবার (১১ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার রাত ৯টার দিকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকার রমনা সুপার মার্কেটে অবস্থিত হোটেল মার্টিন আবাসিকে তল্লাশি চালিয়ে এ ৬ জনকে আটক করে তারা।
‘হোটেল মার্টিন আবাসিকে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে’ এমন খবর পেয়ে সিলেটের বর্ডার গার্ড স্কুল ও কলেজ, পাইলাট স্কুল ও এমসি কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র রবিবার রাত ৯টার দিকে হোটেলটিতে তল্লাশি চালায়। এসময় বিভিন্ন কক্ষে অসামাজিক কার্যকলাপরত ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করে। এসময় হোটেলে থাকা আরও কয়েকজন নারী-পুুরুষ পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের আবাসিক হোটেলগুলোতে গড়ে উঠেছে ‘মিনি পতিতালয়’। পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালালেও এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না নগরজুড়ে। উঠতি বয়সী তরুণী ও নারীদের দিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনার দায়ে বেশীর ভাগ হোটেলে অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোটেল তরুণ-তরুণীসহ হোটেল ম্যানেজারকে আটক করলেও মালিকরা থেকে যান অধরা।
পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এসব হোটেল থেকে গ্রেফতারও হচ্ছেন নারী-পুরুষ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব হোটেলের মালিকরা থেকে যাচ্ছেন আড়ালে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েছে। আর এমন পরিস্থিতি শিক্ষার্থীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন হোটেলগুলোতে।