প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (মে ১২) গণভবনে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতালির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বিশাল অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাজার ধরার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাজারগুলো রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে থাকায় বাংলাদেশ বড় কেন্দ্রীয় বাজার হতে পারে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপীয় বাজারগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইতালির সহযোগিতা চান।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাগুলোকে খুঁজে বের করে তা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যাতে অবৈধভাবে বিদেশ যেতে না পারে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সরকার জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছে।
ইতালিকে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইতালিসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে অবৈধ অভিবাসী প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে কেউ যাতে বিদেশ যেতে না পারে, সে জন্য সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাটা দুঃখজনক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে টেকনোলজি ট্র্যান্সফার, প্রতিরক্ষা ক্রয়সহ বিভিন্ন সেক্টরের আধুনিকায়নে সহযোগিতা করতে ইতালির আগ্রহের কথা জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট সরবরাহে ইতালির আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনেই এই সংকটের সমাধান এ বিষয়ে একমত হন তারা।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।