রাইজিংসিলেট- সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর অনেকেই শরীরে ক্লান্তি অনুভব করেন। অনেকে আবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অস্বস্তি বোধ করেন। কেউ কেউ আবার ইফতার খাওয়ার পর রাতে কিছুই খেতে চান না। যদি এমন সমস্যা আপনারও থাকে তবে আজকের আয়োজন আপনারই জন্য।
এ দেশে ইফতারে ভারী খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। যে কারণে অনেকেই রোজায় দীর্ঘ খাবার বিরতির পর ইফতারে ভারী খাবার খেয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন। অনেকের শুরু হয় পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যাও এ সময় বেড়ে যায় অনেকের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সমস্যার সমাধানে রমজান মাসে হাতের কাছে রাখুন পুদিনা পাতা। ইফতারের পর রাতের খাবার খাওয়ার সঙ্গে পুদিনা কুচি খেতে পারেন। কিংবা পুদিনা পাতার শরবতও খেতে পারেন। চাইলে পুদিনা পাতা কুচি মুখে চিবোতেও পারেন। মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে দারুণ কাজে দেয় পুদিনা পাতা চিবানোর অভ্যাস।
খাবারে পুদিনা পাতা রাখলে দারুণ শান্তিবোধ করবেন আপনি। কারণ বমি ও পেটের গন্ডগোল দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতায় থাকা পিপারমিন্ট যকৃতের সমস্যা দূর করে। এর পাতায় থাকা মেন্থল পেটের যন্ত্রণা উপশম করে।
এ ছাড়া পুদিনা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের ক্রিয়ার বিকাশ ঘটায়।
পুদিনার অন্যতম উপকারিতা হলো এটি অ্যারোমাথেরাপি বা গন্ধ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়। পুদিনা তথা মিন্টের কড়া অথচ সজীব গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীর ও মনকে তরতাজা করতে সাহায্য করে।
পুদিনায় থাকা মেন্থল উপাদান মাথাব্যথা দূর করতে পারে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি দাঁত ভালো রাখতে পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। এর মেন্থল আর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস উপাদান খাবার হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
এতে থাকা এসেনশিয়াল অয়েলের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ পেটের ক্র্যাম্পকে উপশম করতে এবং অ্যাসিডিটি ও পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।
তাই ইফতারে ভারী খাবার খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিন, ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। রাতের খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। দেখবেন, দ্রুতই আরাম অনুভব করছেন আপনি।