রাইজিংসিলেট- ইরানের পর আরও ২ দেশ থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হা`ম`লা।ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দখল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইসরায়েল। সারাদেশে এখনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার চাপ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েলে নতুন করে হামলা হলো। এবার লেবানন ও ইয়েমেন থেকে হামলা হয়েছে। ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছে।
বুধবার (০২ অক্টোবর) ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হুতির সামরিক বিভাগের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের গভীরে তিনটি কুদস-৫ রকেট দিয়ে সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছেন তারা।
অন্যদিকে বুধবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ জানায়, আজ সকালে উত্তর ইসরায়েলে তারা একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে। এদিন ইসরায়েলি একটি সামরিক ব্যারাকেও রকেট হামলা হয়।
ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দাবি, বুধবার স্থানীয় সময় ৭টা ১৫ থেকে ৭টা ২০ মিনিটে ইসরায়েলে তিনটি হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের স্হুলা ও মাসকাফ আম বসতি এবং শোমেরা ব্যারাকে ইসরায়েলি সেনারা জড়ো হলে সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তাদের হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কয়েকটি সরাসরি ও নির্ভুলভাবে শত্রুশিবিরে আঘাত হেনেছে।
তবে হুতি ও হিজবুল্লাহর এমন দাবি নিয়ে এখনো মুখ খুলেনি ইসরায়েল। কিন্তু গাজা যুদ্ধের পর থেকেই নিয়মিতভাবে ইসরায়েলে রকেট হামলা করে আসছে এই দুই প্রতিরোধ যোদ্ধাদল।
এর আগে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা নেয় তারা।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে। ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহল থেকেও একই কথা শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, নেতানিয়াহু নির্দেশনা দিলেই পাল্টা হামলা হবে।