বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক নাগরিকদের সন্ধান ও তাদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে নাগরিক আলেমসমাজ। গুমবিরোধী জাতিসঙ্ঘের সনদে বাংলাদেশের স্বাক্ষর ও আন্তর্জাতিক গুম দিবসের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক বিবৃতি এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক লেখক ও সাংবাদিক নোমান বিন আরমান বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সাড়ে ১৫ বছরে অসংখ্য মানুষকে গুম-খুন করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আক্রোশে বিপর্যয় নেমে এসেছে হাজারো পরিবারে। অনেক পরিবার এখনো জানেনা, তাদের স্বজনদের ভাগ্যে কী ঘটেছে। এমন বিভীষিকা থেকে অবিলম্বে পরিবারগুলোকে মুক্ত এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তিনি আহŸান জানান।
দেশের সকল মতপথের মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকার আন্তরিক হবে- এমন প্রত্যাশা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভিন্নমত ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী নাগরিকদের গুম করার অপনীতি থেকে যাতে সরে আসে, সেটি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্যে শক্তিশালী আইনি কাঠামো তৈরি ও জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করাসহ বাহিনীগুলোর সদস্যদের মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন নাগরিক আলেম সমাজের সমন্বয়ক মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক মুতিউল মুরসালিন, আদিব আহমদ, মিশন ওয়ান মিলিয়নের প্রধান নির্বাহী ফায়যুর রাহমান, লেখক হক নাওয়াজ, কণ্ঠশিল্পী শেখ এনাম, লেখক কবির আহমদ খান, লেখক হুসাইন ফাহিম ও মাওলানা সাদিকুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গুমবিরোধী জাতিসঙ্ঘের সনদে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। ৩০ আগস্ট পালিত হবে আন্তর্জাতিক গুম দিবস।