ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ড. রেজাউল করিম বলেন,পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলমানদের গুঁড়িয়ে দিতে হবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মহাখালী চৌরাস্তায় এক বিক্ষোভপূর্ব বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রেজাউল করিম বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজাবাসী নারী ও শিশুকে হত্যা করে আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বর যুগের ইতিহাসকে হার মানিয়েছে। ইসরায়েল গণহত্যা পরিচালনার মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে সন্ত্রাসী ভূখণ্ড হিসেবে পরিণত হয়েছে। তাই তাদের পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলমানদের গুঁড়িয়ে দিতে হবে।
রেজাউল করিম বলেন, তাদের এ বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সব নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। তাই মুসলিম উম্মাহ তাদের এমন হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতাকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্টক্ষত ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে চাই না। পৃথিবীর বুকে যেখানেই ইহুদি থাকবে সেখানেই তাদের বয়কট করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েলিরা সব ধরনের আইন-কানুন, নীতি- নৈতিকতা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলার মাধ্যমে পুরো গাজাকে ধ্বংসের শহর ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারা প্রতিনিয়ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করে প্রমাণ করেছে ইসরায়েল কোনো রাষ্ট্র নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী ভূখণ্ড।
তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যা করছে তা কোনো যুদ্ধ নয়; বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাদের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ বেসামরিক স্থাপনাও। এমনকি হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানও তাদের জিঘাংসা থেকে মুক্ত থাকেনি। তাই সময় এসেছে ইহুদীদের পণ্য বর্জনের। শুধু তাদের পণ্য বর্জন করলেই চলবে না, বরং যেখানে ইহুদী দেখা যাবে সেখানেই তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইহুদীবাদীদের সব ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে।
রেজাউল করিম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ না হলে মুসলিম যুবক-যুবতীরা ইসরায়েল অভিমুখে মার্চ করে অবৈধ ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মুহিবুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।