
উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি দানবীর সৈয়দ ড. রাগীব আলী’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেছেন সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান বলেন সিলেটের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী এবং চা শিল্পের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী ও তাঁর স্ত্রী মরহুমা বেগম রাবেয়া খাতুন সিলেট বিভাগের ইতিহাস ও গৌরবের প্রতীক।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ড.সৈয়দ রাগীব আলীকে সংগঠনের আজীবন পৃষ্ঠপোষক হওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করে সাংবাদিক সমাজের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় তাহার পুত্র আব্দুল হাইকে সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ার প্রস্তাব করিলে তিনিও সম্মতি প্রদান করেন।
গত ৯ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রোববার বাদ মাগরিব সিলেট বিমানবন্দর রোডের তারাপুর চা-বাগানের বাংলোয় সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, সম্মাননা প্রদান ও মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন। সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিলেট জজকোর্ট এবং বাংলাদশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান আরো বলেন— “দানবীর ড. রাগীব আলী ও মরহুমা বেগম রাবেয়া সিলেটের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উন্নয়নের প্রতীক। তাঁরা শুধু শিল্পপতি নন, শিক্ষা ও মানবসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—
সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ও সাপ্তাহিক বাংলার মাটি পত্রিকার সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী,
সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়ন(এসইউজে)’র সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক বর্তমান বাংলা’র প্রতিনিধি কামরুল হাসান জুলহাস, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকরাম আল সাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক নাগরিক সংবাদ’র প্রতিনিধি শাহান আহমদ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ সাপ্তাহিক নকশী বাংলা”র নির্বাহী সম্পাদক কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজুসহ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
পরে ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজু তাঁর দুটি কবিতার বই “ইচ্ছেগুলি উড়িয়ে দিলাম” ড. রাগীব আলী এবং তাঁর পুত্র আব্দুল হাই-এর হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠান শেষে দানবীর ড. রাগীব আলীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।