সুইডেন এর রাজধানী স্টকহোম ইউরোপের একটি দেশ। মিউজিয়াম, দুর্গ এখানকার আকর্ষণীয় জায়গা। বিশেষ করে স্ককলস্টার দুর্গ অনেক জনপ্রিয়। রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বদিকে রয়েছে ফিনল্যান্ড, পশ্চিমদিকে নরওয়ে ও দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে ওরেসুন্দ সেতু, যেটা দিয়ে ডেনমার্ক যাওয়া যায়।
মাস্ট্রান্ড শহরে বসতি গড়ে উঠেছে ১২০০ সালে। সেই সময় থেকে এই শহর দুটো কারণে বিখ্যাত- জাহাজ ও দুর্গ। পশ্চিম সুইডেনে অবস্থিত এই দ্বীপে সপ্তদশ শতকে নির্মিত কার্লস্টেন দুর্গ রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এই শহর খুব পছন্দের।
সুইডেনে অনেক উপকূল রয়েছে। কিন্তু কোস্টারহ্যাভেট ন্যাশনাল পার্ক সুইডেনের সবচেয়ে সেরা জায়গা। নরওয়ে সীমান্তে অবস্থিত কোস্টারহ্যাভেট ন্যাশনাল পার্কে সব বয়সের মানুষকে দেখা যায়। এটি সুইডেনের প্রথম মেরিন ন্যাশনাল পার্ক।
সুইডেনের তৃতীয় বড় শহর মালমো। এখানে রয়েছে বড় বড় ভবন ও সুরম্য দুর্গ। এই শহরের প্রধান আকর্ষণ টার্নিং টর্সো। এই শহরে রয়েছে অসংখ্য অভিজাত ভবন। মানুষ এই শহরকে এসব ভবনের কারণে চিনে থাকেন। আর দক্ষিণ সুইডেনে অবস্থিত ইয়াস্টাড শহরে ভার্জিন ম্যারি গীর্জা রয়েছে। এই গীর্জা ইউরোপের মধ্যযুগে নির্মিত। শহরটিতে গীর্জা ছাড়াও রয়েছে নান্দনিক স্থাপত্যে তৈরি আশ্রম। বিশ্বের সব জায়গার সব বয়সের মানুষ এই শহরে ভ্রমণ করে থাকেন।
সুইডেনের উত্তরে অবস্থিত সুইডিশ ল্যাপল্যান্ড দর্শনার্থীদের কাছে পছন্দের শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত এই শহরে সব বয়সের মানুষ ভ্রমণ করেন। ভিলহেলমিনায় ২২৩ মাইল সুবিস্তৃত পথে ভ্রমণ করে থাকেন সব শ্রেণীর মানুষ। সুইডেনের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গটল্যান্ড। বাল্টিক সমুদ্রে অবস্থিত এই দ্বীপ সুইডেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বীপ। এই দ্বীপে মনোমুগ্ধকর স্থাপত্যে তৈরি ভবন রয়েছে। এছাড়া ইউরোপের মধ্যযুগে নির্মিত ১০০ গীর্জা রয়েছে।
স্টকহোলম আর্কিপেলাগো শহর সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত। এই শহরে সমুদ্রপ্রেমী মানুষকে বেশি ভ্রমণ করতে দেখা যায়। স্টকহোলম আর্কিপেলাগো শহরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের দুর্গ স্ট্যারোফোর্টেট রয়েছে। এটি পর্যটকদের ভ্রমণের মূল আকর্ষণ।
এবার জেনে নেই সুইডেনে ভিজিট ভিসার জন্য যা যা দরকার-
বৈধ পাসপোর্ট,ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করে স্বাক্ষর,রিটার্ন সহ এয়ার টিকেট বুকিং কপি, ট্রাভেল স্বাস্থ্য বীমা,প্রুফ অফ এ্যাকোমোডেশন,ইনভাইটেশন + স্পনসর এর চিঠি যদি থাকে,পাসপোর্ট সাইজ এর একটা ছবি,মেরিজ/ডিভোর্স/জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট,ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
