রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সালমান এফ রহমান ও টুকু ।
সালমান এফ রহমানকে ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, ‘মামলা তো মাত্র শুরু। কতগুলো মামলা হবে তা আমরাও জানি না। আপনাকে শুধু আদালতে যেতে হবে আর ডিবিতে আসতে হবে। এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২ বছর জেল খেটেছি। সুতরাং সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, আমাকে জেলে রাখলে দেশের ক্ষতি হবে। কারণ আমার নানা প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মী আছে। তারা বেতন পাবে না। ব্যাংক থেকে যেসব টাকা ঋণ নিয়েছি সেগুলো পরিশোধ হবে না। তখন ডিবি কর্মকর্তা হেসে বলেন, ‘আপনারা ১৫ বছরে দেশটি খেয়ে ফেলেছেন। আর এখন আপনাকে ছেড়ে দেব-সেটা ভাবার কারণ নেই।
সালমান এফ রহমান ডিবিকে বলেন, আন্দোলনের সময় আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি, দেশের মানুষ আমাদের ওপর খেপে যাচ্ছেন। তিনি পাত্তা দেননি। ছাত্র অন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন শেখ হাসিনা আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশ এতো ভালো কাজ করছে। সেনাবাহিনী কেন পারছে না। এ সময় আমি বিষয়টি নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেই।
প্রথমে আমাকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর ৬ মাস পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হলে আমি ওই দায়িত্ব নিতে চাইনি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলার ছাত্রী হয়ে পুরো দেশ চালাচ্ছি। আর তুমি ম্যানেজমেন্টের ছাত্র হয়ে একটি মন্ত্রণালয় চালাতে পারবে না? তুমি দায়িত্ব নাও। সমস্যা হলে আমাকে বলবে। আমি সব সমস্যার সমাধান দেব।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনারা কেন টাকার বিনিময়ে পুলিশ নিয়োগ দিলেন? জবাবে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে পুলিশে নিয়োগের বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম।’ তখন টুকুকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়, ‘আপনি যখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তখন অপনার ভাই এবং আপনার ছেলে সরাসরি টাকা নিয়েছেন। অন্য একজন ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি নিজে সরাসরি টাকা নিয়েছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সব সময় আল্লাহর কাছে চেয়েছি, আমি যেন সংসদে যেতে পারি। আমার বয়স যখন ২৫ বছর তখন থেকেই এটা চাচ্ছিলাম। কিন্তু ৬০ বছর বয়সে আল্লাহ কবুল করেছেন। আমি মন্ত্রিত্ব চাইনি। জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামীকে হারানোর কারণে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা নিজেই আমাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার করেন।