raising sylhet
ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ওসমানী হাসপাতালে এখনো থামেনি সিনিয়র স্টাফ নার্স অরবিন্দু চন্দ্র দাসের রাজত্ব

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ১৯, ২০২৪ ৭:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাসপাতালে এখনো থামেনি সিনিয়র স্টাফ নার্স অরবিন্দু চন্দ্র দাসের রাজত্ব। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওসমানী মেডিকেলে একক রাজত্ব গড়ে তোলে অরবিন্দু সিন্ডিকেট। সে চাকুরির শুরু থেকে বাণিজ্যিক শাখা গুলোতে কাজ ডিউটি করে আসছে। প্রথমে রেকর্ড শাখার দায়িত্ব পালন করে পরে সেখান থেকে আরেক বাণিজ্যিক শাখা স্টোরের দায়িত্ব পালন শুরু করে। এসকল জায়গায় দায়িত্ব পালন করে সে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। বর্তমানে ওসমানী মেডিকেলে স্বৈরাচারের দোসর অরবিন্দু চন্দ্র দাসের একক রাজত্ব।

চলমান এমটি প্রশিক্ষণ বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের নাম মনোনয়ন করে দেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ সৌমিত্র চক্রবর্তী। সেখানে যে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এরমধ্যে প্রথমেই।

বিগত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি ভোটার সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছাঃ আছমা আক্তার খানমের নাম, আরেক স্বৈরাচারের দোসর সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ সোহেল আহমদ, এরপর সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ কিবরিয়া খোকন, সিনিয়র স্টাফ নার্স লুৎফা বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স সুলতানা বেগম।

কিন্তু অরবিন্দু চন্দ্র দাস ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সেবা তত্ত্বাবধায়ক রিনা বেগমকে ম্যানেজ করে কিবরিয়া খোকনের নাম বাদ দিয়ে তার নাম বসিয়ে দেয়। এ নিয়ে হাসপাতাল জুড়ে তোলপাড় বিরাজ করছে। অরবিন্দুর জন্য এগুলো নতুন কিছু না। ওসমানী মেডিকেলে যারাই অনিয়মের প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে কৌশলে বদলি ও গায়েল করা তার নিত্যদিনের পেশা।

Advertisements

২০১৭ সালে হাসপাতালের তৎকালীন সিনিয়র স্টাফ নার্স কুলসুমা বেগম বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনবি (বিএনএ) এর অনিয়মের প্রতিবাদ করছিলেন তখন সাথে সাথে অরবিন্দু, রেখা বর্ণিক, পরিমল, সাদেকসহ একটি কুলসুমাকে বিএনপির নেত্রী অপবাদ মারধর করে মেডিকেল থেকে বের করে দেন। পরে শুরু হয় সিনিয়র স্টাফ রেখা বণিকের রাজত্ব। এরপর রেখা বর্ণিককে গায়েল করতে সিনিয়র স্টাফ শামীমা নাসরিনকে সভাপতি ও ইসরাইল আলী সাদেককে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনবি (বিএনএ) ওসমানী মেডিকেল শাখার কমিটি করেন অরবিন্দু। তারপর রেখা বণিকের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাকে মৌলভীবাজারে বদলী করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় অরবিন্দু দাসের একক রাজত্ব।

শামীমা-সাদেককে জিম্মি করে রাখেন তিনি। পরে ২০২২ সালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া যোগদানের পর ঔষধ স্টোরে অনিয়ম-দূর্নীতির দায়ে অরবিন্দুকে সরিয়ে নেন মানসিক ওয়ার্ডে। এবিষয়ে সাদেককে প্রতিবাদ করার কথা বলেন অরবিন্দু। কিন্তু সাদেক অরবিন্দু কোন কথা আমলে নেয়নি। তারপর সাদেকের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে অরবিন্দু। এরপর কৌশলে সাদেককে ফাঁসিয়ে দেয় সে। সাদেক কারাগারে যাওয়ার পর ফের শুরু হয় অরবিন্দুর রাম রাজত্ব।

বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) ওসমানী মেডিকেল শাখার কমিটি পূর্ণ গঠনের কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের কেন্দ্র থেকে কমিটি বিলুপ্তি না হওয়ায় অরবিন্দু তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সদ্য পলাতক মেয়র আনোয়ার চৌধুরী কাছে যায়। তখন তিনি একটি নতুন কমিটি করার পরামর্শ দেন। এরপর আনোয়ার চৌধুরীর পরামর্শ অনুযায়ী অরবিন্দু উপদেষ্টা হয়ে নার্সেস এসোসিয়েশন ওসমানী মেডিকেল নামক একটি সিন্ডিকেট কমিটি করেন। হাস্যকর হলেও সত্য এই কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা হয়। সেখানে সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন আগের কমিটির সভাপতি শামীমা নাসরিন। তিনি তাদের এই কমিটিতে বিনাপ্রতিদ্ধিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এই কমিটির সভাপতি শামীমা নাসরিন হওয়ায় অরবিন্দু কোন প্রকার অবৈধ সুবিধা নিতে পারেননি। তাই কৌশলে শামীমা নাসরিনকে সভাপতির পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন তিনি।

১৩২ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।