মু্ফিজুর রহমান নাহিদ স্টাফ রিপোর্টার:সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপির খালপার ও অত্র ইউপির সুরমা নদীর বিভিন্ন স্থানে বালু খেকু যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাবের আশরাফ চৌধুরী , ড্রেজার মালিক বদরুল, জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার হারুন,বাবুল,ক্ষুদ্রত, শহিদ এর নেতৃত্বে একটি প্রভাব শালী চক্র কয়েক দিন থেকে ড্রেজার বসিয়ে সুরমা নদীতে থেকে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের হিরিক। এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও হয়নি কোন প্রতিকার।
প্রশাসন বলছেন, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বালু উত্তোলনের কারণে পুকুরের গভীরতা সৃষ্টি হয়ে পারবর্তী বাড়িঘর,ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে।এদিকে ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপি হচ্ছে নদী ভাঙ্গ কবলিত অঞ্চল। সেখান কার বেশ কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙ্গন এর কারণে ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। বর্তমানে যে খালোপার নামক স্থান থেকে বালু খেকুগণ বালু উত্তোলন করতছে সেখানে হুমকির মুখে খালোপার দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসা সহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। এখনে পূর্বে কোন বালু মহল ছিল না। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই প্রভাবশালী চক্র। এলাকায় তাদের প্রভাবে কেউই প্রতিরোধ করতে পারছেন না। যার কারনে স্থানীয় নীরিহ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা।
বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।একাধিক ব্যক্তি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বাড়িঘর, ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মানুষের দু:খ-দুর্দশার কথা চিন্তা না করে ব্যক্তি মুনাফার জন্য পরিবেশ নষ্ট করে জনগণের মুখের গ্রাস ও বসতবাড়ি ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠেছেন এই প্রভাব শালী চক্রটি। এ ব্যাপারে জাবের আশরাফের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ডিসি সাহেব অবগত আছেন তাদের অনুমতি সাপেক্ষে কাজ করছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা নাসরিন এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান,এবিষয়ে আমি আবগত না, তারপরেও কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেননি।
খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।