সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কানাইঘাট উপজেলায় গতবারের চেয়ে জিপিএ-৫ উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে, কমেছে পাশের হার।
সার্বিক ফলাফলের দিক থেকে কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১১৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০৭ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন ও সর্বোচ্চ ১৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
গোটা উপজেলায় ৫২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪’শ ৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ১৬৩০ জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৬৭.৬৬।
ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে পৌরশহরে অবস্থিত কানাইঘাট পাবলিক হাইস্কুলে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন মাত্র ২৪ জন। জিপিএ ৫ পায়নি কোন শিক্ষার্থী।
অপরদিকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ১৩টি মাদ্রাসা থেকে ৬৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১০টি জিপিএ-৫ সহ ৫১০ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। উপজেলার দাখিল পরীক্ষার পাসের হার ৬৭.৬৬। তারমধ্যে কানাইঘাট মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ টি জিপিএ-৫ সহ ৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
অপরদিকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে আলহাজ্ব বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়। মফস্বল এলাকায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ার কারনে অনেকে দায়ী করছেন, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সিলেট শহরে বসবাসের কারণ। সময়মতো অনেক প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় ও শিক্ষকদের পাঠদানে তদারকি না করার কারণ। আবার ফলাফল বিপর্যয়ে অভিবাবকদের গাফিলাতি রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।