যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের সম্প্রীতি সভা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সিলেট মহানগর ও জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন এবং সম্প্রীতি সভা করেন।
আজ ( ১২ আগস্ট ) রাতে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তা জানিয়ে সিলেট যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় এই সম্প্রীতি সভা করে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল।
নেতৃবৃন্দরা নগরীর আখালিয়াস্থ নয়াবাজার শ্রী শ্রী দুর্গাবাড়ি নতুন বাজার মন্দির ও সিলেট বৌদ্ধ বিহারে রাতে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এর নির্দেশনায় সিলেট মহানগর ও জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন এবং সম্প্রীতি সভা করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোঃ সম্রাট হোসেন,সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য কবির উদ্দিন,সিলেট মহামগর যুবদলের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য এমদাদুল হক স্বপন সহ মহানগর ও জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। ভুয়া ছবি ভিডিও ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেবার নানা গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
৫ আগস্ট বিকেল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন মন্দিরে হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার গুজবে সিলেটের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সারা দেশের মতো সিলেট জেলাতেও এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সিলেটে সাধারণ হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো হামলা হয়নি বলে জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
হিন্দুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরের নিরাপত্তায় পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেন বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও মন্দির পরিদর্শন করে সাহস ও আশ্বাস দিচ্ছেন। এ ছাড়া গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর বিক্ষুব্ধ জনতা সারা দেশের মতো সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ অফিস, তাদের দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যে কয়েকজনের বাসায় হামলা ভাঙচুর হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। আক্রান্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবাই আওয়ামী লীগ নেতা। সিলেটে সাধারণ হিন্দুদের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো হামলা হয়নি বলে জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
জানা যায়, ৫ আগস্ট বিকেলে নগরের গোপালটিলা এলাকায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিৎ সরকারের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর হয়। একই দিনে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিধান চন্দ্র সাহার অফিস, নগরের শেখঘাট এলাকায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি পিযূষ কান্তি দের বাসা ও মির্জাজাঙ্গাল এলাকার অফিস এবং নগরের আখালিয়া এলাকার মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কাউন্সিলর জগদীশ দাশের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বাসা ও অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গেছে।