কোম্পানীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে দুলাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে কাঠ দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৩মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার তেলিখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নিম্বর আলীকে (৭০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছেলেকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বাবা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুলাল দুষ্টু প্রকৃতির লোক ছিল। সে প্রায়ই পরিবারের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার-নির্যাতনসহ ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত। মাসখানেক আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছে। প্রায়ই সে বাবা-মাকে মারধর করত।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তার ছোট ভাই আলালকে মারধর করছিল সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বাবা নিম্বর আলী। হাতে থাকা কাঠের একটি বর্গা দিয়ে ছেলে দুলালকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এতে গুরুতর আহত হন দুলাল। পরে আহতাবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান জানান, দুলাল প্রায়ই তার বাবা-মাকে মারধর করত। সে দড়ে বছর আগে র্পাশ্বর্বতী গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিয়ে করে। মাসখানেক আগে তার স্ত্রী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে গেছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে দুলাল খুন হয়েছেন। নিহত দুলাল ছিল দুষ্টু প্রকৃতির লোক । ঘটনার দুই দিন আগেও সে তার বাবাকে মারধর করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে সে তার ছোট ভাইকে মারধর করছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা নিম্বর আলী কাঠের একটি বর্গা দিয়ে তাকে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয় এবং পরে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের বাবা ও ভাই আলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।