হরতালের ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি খুলে না দিলে রতালের ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন নেতারা ।
কোয়ারি খোলার দাবিতে উপজেলার বিছানাকান্দি পার্শ্ববর্তী হাদারপার বাজারে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসম্বর) দুপুরে মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিছানাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ হকের সভাপতিত্বে এবং বিছনাকান্দি পাথর সাপ্লাইয়ার সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য বদরুজ্জামান বদরুলের যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন- আমরা দীর্ঘদিন ধরে কোয়ারি থেকে যন্ত্র ছাড়া হাত দিয়ে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আমাদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। একাধিকবার হাইকোর্ট অনুমতি দিলেও পরবর্তীতে আবার উদ্দেশ্যমূলকভাবে রিট করে আগের রায় স্থগিত করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ব্যবসায়ী আব্দুন নুর, সাবেক মেম্বার ওসমানগনি,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুস শহীদ, সিফত উল্লাহ, কলিম উল্লাহ, হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, মাওলানা আখলাকুল আম্বিয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জৈন উদ্দিন, রুস্তুমপুর ইউনিয়ন ছাত্র সংসদের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, রুস্তুমপুর ইউনিয়ন জামাতের আমির জসিম উদ্দিন, রুস্তুমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদুল হক,বিছনাকান্দি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস ছত্তার, আবুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তরা আরও বলেন- ভারত থেকে এলসি’র মাধ্যমে পাথর ক্রয়ের লক্ষ্যে গত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিছনাকান্দিসহ সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ করে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস- বর্তমান নির্দলীয় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার যৌক্তিকতা বিবেচনায় পাথর বিছানাকান্দিসহ সব পাথর কোয়ারি খুলে দিবেন। তা না হলে আমরা হরতালের ডাক দিতে বাধ্য হবো। কোয়ারি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী-শ্রমিকসহ এ সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে আছেন বছরের পর বছর ধরে। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।