সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেছেন, শুধু খাদ্য গ্রহণ করলেই হবে না। সুস্থ থাকতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভোক্তা হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। বাড়ির মায়েদেরও এ বিষয়ে অনেক ভূমিকা রাখতে হবে। শিশুরা কি খেলো, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে এমনকি নানাবিদ রোগবালাইও বাঁধতে পারে। তাই আমাদের সবার সচেতনতাই পারে একটি সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি)-এর যৌথ উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ অডিটোরিয়ামে ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফি এর কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আরিফ মোর্শেদ মিশু, বিএসটিআই সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ মাজাহারুল হক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সিলেটের নিরাপদ খাদ্য অফিসার সৈয়দ সারফরাজ হোসেন, রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ সিলেটের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শামিম আহমেদ।
ক্যাব’র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আহমদ একরামুল্লাহ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফআইভিডিবি’র কো-অর্ডিনেটর দেলোয়ার হোসেন। প্রকল্প পরিচিতি ও ক্যাম্পেইন সম্পর্কিত আলোচনা উপস্থাপন করেন এফআইভিডিবি’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. হাসনাইন।
দ্বিতীয় পর্বে টিফিন প্রদর্শনী ও রন্ধন শিল্পী কুমকুম মারুফা ও হাসান জাহান কর্তৃক নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।