রাইজিংসিলেট- চা পছন্দ করেন না, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যক্তিভেদে হয়তো কেউ র চা, কেউ দুধ চা, আবার কেউ গ্রিন টি পান করতে পছন্দ করেন। চা প্রেমিকরা বিভিন্ন সময় চা পান করে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর, দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর এবং বন্ধু মহলে আড্ডায় চা পান করা হয়।
তবে খাবার খাওয়ার পরই যারা চা পান করেন, তাদের অনেকেরই ধারণা যে এতে হজম ভালো হয়। আবার কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেন। কিন্তু আসলেই কি খাবার খাওয়ার পর চা পান করলে হজম ভালো হয়? সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ শতভিষা বাসু। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
চায়ের গুণাগুণ: এ পুষ্টিবিদের ভাষ্য চা হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। এই উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস, স্ট্রেস কমানোসহ নানা জটিল সমস্যা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ জন্য স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পরিমিত পরিমাণ চা পান করা যেতে পারে।
খাবার খাওয়ার পর চা পানে কি দ্রুত হজম হয়: এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদ বলেন, চা খুবই উপকারী পানীয় হলেও খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান উচিত নয়। কারণ এতে ট্যানিন নামক উপাদান রয়েছে। যা খাবারকে দ্রুত হজম হতে দেয় না। এমনকী এই উপাদানের জন্য খাবারে বিদ্যমান খনিজ ও ভিটামিনও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে না শরীর। এ জন্য খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আগে-পরে চা পান: পরিমিত পরিমাণ চা পান উপকারী। আর চা পানে উপকার পেতে হলে দিনে ৩ থেকে ৪ কাপের বেশি পান করা যাবে না। এ জন্য অবশ্যই খাবার খাওয়ার অনন্ত ৩০ মিনিট আগে বা পরে চা পান করতে হবে। এই নিয়ম মেনে চললে হজমজনিত সমস্যায় পড়তে হবে না। ফলে খাবারের পুষ্টিগুণও পাওয়া যাবে।
চিনি মেশালেই নতুন বিপদ: চা পানের সময় অনেকেই স্বাদ বৃদ্ধির জন্য চিনি মিশিয়ে থাকেন। এটি একদমই করা যাবে না। এতে উপকার পাওয়া যায় না। ফলে গ্যাস-অ্যাসডিটির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার চিনি হচ্ছে এম্পটি ক্যালোরিজ। চায়ে নিয়মিত চিনি মিশিয়ে পানের ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।