অন্তর্র্বতীকালীন সরকার জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই জীবন-জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা হবে বলেছেন,বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন।
সমন্বিত গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি বলেন, রাষ্ট্র সঠিক পথে চালনার জন্য যাঁরা ন্যায়ের যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন তাঁরা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁদের অভিপ্রায় অনুযায়ী নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন এখন সবার দায়িত্ব। ধর্ম বা ন্যায়ের পথের যোদ্ধারা আলোকবর্তিকা হিসেবে অন্যদের পথ দেখায় উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, পরিবারের কথা না ভেবে যাঁরা গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছেন, তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। স্মরণসভায় বক্তাগণ জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের নামে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রের দায়ের কথা উল্লেখ করেন। একই সাথে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে শেষ করার দাবি জানান। ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানান। দ্রুত সভা শেষে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা স্মারক ও অনুদান প্রদান করা হয়।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় আহত ও শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম, পিপিএম-সেবা, ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সাংবাদিক, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।