
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ গণভোট একই দিনে সম্পন্ন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ।
গণভোটে যে মূল প্রশ্নটি ভোটারদের সামনে উপস্থাপন করা হবে তাও এই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ইসির সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণকে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
বলা হয়েছে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন? (হ্যাঁ/না)।’
প্রশ্নের মাধ্যমে জনগণ জুলাই জাতীয় সনদে প্রস্তাবিত চারটি মূল সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে।
তার মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনুমোদন আবশ্যক হবে।
এছাড়াও, জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্যে পৌঁছানো মোট ৩০টি বিষয়ের বাস্তবায়ন নিশ্চিত চাওয়া হবে গণভোটে।
এই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ তফসিলে বর্ণিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো এই ৩০টি বিষয়ে বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।
শেষ প্রস্তাবটি হলো, জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একই দিনে নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের সাংবিধানিক ভবিষ্যতের জন্য জনরায় নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।