আবার গণমানুষের কাতারে সামিল হলেন দুবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিদায়ী সংবর্ধনার পর বঙ্গভবন ছেড়ে রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজের বাড়িতে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবনের জীবন ছেড়ে সাধারণ নাগরিকদের কাতারে চলে যেতে পারাকে আনন্দের উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আপনারা শুনেছেন, অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দি জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি।
এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।
সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রপতি হয়েছিলাম, তবুও আমি সব সময় নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ মনে করি। আমার যে রাজনীতি, সেটা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য।
আবদুল হামিদ বলেন, আমি দেশের মানুষের কাছে, এলাকার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মোটামুটি স্বাধীনভাবে’ কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, সেজন্য তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আর কৃতজ্ঞ সাংবাদিকদের কাছে, কারণ আমার বক্তব্য তারা ‘টুইস্ট না করে’ জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, চেষ্টা করেছি দেশে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে, আগামীতেও চেষ্টা থাকবে। দেশের মানুষ সব দিক থেকে ভালো থাকুক, সুখী থাকুক সেটি চাই।
নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে।
বিদায়ী সংবর্ধনার পর বঙ্গভবন ছেড়ে পরিবার নিয়ে নিকুঞ্জের ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ ওঠেন আবদুল হামিদ।
আবদুল হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির চেয়ারে ছিলেন।