
গরমকালে অতিরিক্ত তাপমাত্রা শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখা, পানিশূন্যতা এড়ানো এবং স্বাভাবিক শক্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি। তাই গ্রীষ্মে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন এবং সচেতনতা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন- গরমে শরীর ঘামের মাধ্যমে অনেক পানি হারায়। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন। শুধু পানি নয়—ডাবের পানি, ফলের রস, লেবুর শরবত ইত্যাদিও শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
হালকা গরম পানিতে গোসল করুন- অনেকেই গরমে ঠান্ডা পানিতে গোসল পছন্দ করেন, কিন্তু এটি তাৎক্ষণিক আরাম দিলেও শরীর আরও গরম অনুভব করতে পারে। বরং হালকা গরম পানি রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে ও শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরিয়ে আনে।
চা-কফি ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন- চা, কফি কিংবা অ্যালকোহল শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে এবং ডিহাইড্রেশন ঘটায়। এসবের পরিবর্তে ফলের রস, ডাবের পানি বা ঘরে তৈরি ঠান্ডা পানীয় বেছে নিন।
হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান- গ্রীষ্মকালে ভারী ও তেলচিটে খাবার হজমে সমস্যা করে এবং শরীরে অতিরিক্ত তাপ তৈরি করে। বরং তাজা সবজি, ফলমূল এবং হালকা রান্না করা খাবার শরীরকে আরাম দেয় এবং হজমে সহায়তা করে।
পা ঠান্ডা রাখুন- অতিরিক্ত গরম লাগলে পা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। ভেজা পাতলা মোজা পরেও কিছুটা আরাম পাওয়া যায়—তবে সর্দি-কাশি যেন না হয়, সেটা খেয়াল রাখুন।
ঢিলেঢালা, হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন
গ্রীষ্মকালে গাঢ় রঙের ও আঁটসাঁট কাপড় গরম আরও বাড়িয়ে তোলে। হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং ঘাম সহজে শুকাতে দেয়।