চুনারুঘাটে গরু চোর সন্দেহে লিটন মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ৭দিন পর উপজেলার কাপাইছড়া চা-বাগানের গহীন জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে লিটন মিয়ার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে। নিহত লিটন মিয়া মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর এলাকার ছায়েদ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়- গত ৩ এপ্রিল সাতছড়িতে লাকুড়ি সংগ্রহের কথা বলে বাড়ি থেকে বেড় হন লিটন। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে পরিবারের লোকজন খুঁজাখুঁজি করেও কোন হদিস পাওয়া যায়নি তার। এক পর্যায়ে বিষয়টি গত বুধবার চুনারুঘাট থানাকে অবগত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। এর পর থেকেই ঘটনার ক্লু উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা প্রমোদ রিকমন নামে এক যুবককে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে কাপাইছড়া চা-বাগানের গহীন জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে লিটন মিয়ার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রমোদ রিকমন কাপাইছড়া চা বাগানের মঙ্গল রিকমনের পুত্র।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার (ওসি) নুর আলম বলেন, বিষয়টি জানার ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রমোদ রিকমনকে আটক করি। পরে তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পর তার উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘাতক প্রমোদ রিকমন পুলিশকে জানায়, সম্প্রতি তার ১০টি গুরু চুরি হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাপাইছড়া বাগানে লিটনকে গরু চোর সন্দেহে তারা ৫জন মিলে আটক করে মারপিট করেন। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে সে আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমোদ রিকমনসহ ৫ জন মিলে নিহত লিটনের লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে চলে যান।