সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন থাকলেও বিদ্যালয়টিতে চলছেনা পাঠদান।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রত্যুল চন্দ্র সরকার বলেন, পাতনি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা দিয়ে থাকেন। সে অনুযায়ী প্রতিবছর আমরা বই দিয়ে আসছি। তবে নিয়মিত পাঠদান চলছে কি না সে বিষয়ে আমার কাছে সঠিক তথ্য নেই।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৬ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া পাতনি গ্রামের শিশুদের শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করতে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভলান্টারি এসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (ভার্ড)’র নির্বাহী পরিচালক এমরানুল হক কামাল পাতনি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেন।
ভার্ডের তত্বাবধানে বিদ্যালয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১ম শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান চলে। পরবর্তীতে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভলান্টারি এসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (ভার্ড) বিদ্যালয়টি স্থানীয়দের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয়দের হাতে তুলে দেওয়ার পর স্থানীয়রা শিক্ষকদের বেতন দিয়ে আরো দুই এক বছর ভাল ভাবে পরিচালনা করলেও এখন নামমাত্র বিদ্যালয়টি খোলা আছে। পাতনি গ্রামের মুরব্বি কলিম উল্লাহ জানান, বিদ্যলয়ের শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন দিতে হিমসিম পোহাতে হচ্ছে আমাদের। নিয়মিত তাদের বেতন না দেওয়ায় শিক্ষকেরা মাঝে মধ্যে স্কুলে আসেন।