raising sylhet
ঢাকাশুক্রবার , ২৪ মার্চ ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোলাপগঞ্জে জামায়াত নেতার চাপা আ.লীগ নেতার মামলা নিচ্ছেন না ওসি রফিকুল

rising sylhet
rising sylhet
মার্চ ২৪, ২০২৩ ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় স্থানীয় এক জামায়াতের নেতার চাপে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়ের করা মামলা নিচ্ছেন না, থানার ওসি রফিকুল ইসালাম। থানায় এজাহার দায়েরের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে মামলাটি আজও রেকর্ডভ‚ক্ত হয়নি। অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের ঐ নেতার কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েই তদন্তের নামে ১৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ওসি বলছেন এজাহারের তদন্ত চলছে।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১নং বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য সাইয়্যিদ আহমেদ সুহেদ তার নিজ এলাকা রস্তুমপুর গ্রামের হাওরগামী একটি রাস্তার উপরে পানি নিষ্কাশনের জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি মিনি কালবার্ড নির্মাণ করতে গেলে একই এলাকার মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফই ও আজমল আলীর ছেলে আবদুল আহাদ, মৃত মছির আলীর ছেলে জামায়াতের রুকন সদস্য সফিক মিয়া, মন্তাজ মিয়ার ছেলে তারুফ মিয়া, রহিম উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন, আকবর আলীর ছেলে নোমান আহমদ, সোনাই মিয়ার ছেলে আজাদ আহমদ, মুতাহির আলী দলাই মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন বিএনপির নেতা সঙ্গবদ্ধ ভাবে নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে সুহেদের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। সুহেদ তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিয়ে গত ১২/৩/২০২৩ ইং তারিখে উক্ত কালবার্ডের নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরদিন তিনিসহ জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সরেজমিন উপস্তিত থেকে নির্মাণকাজ শুরু করলে প্রথমে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সুহেদের কাছে তাদের দাবীকৃত ১লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। সুহেদ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গ্রামের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষজন জড়ো করেন উল্লেখিত ব্যক্তিরা। সে সময় গ্রামের লোকজন কোন কিছু না বুঝেই লাটিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুহেদসহ তার সাথে থাকা লোকজনের উপর আক্রমণ করতে গেলে, পাশ্ববর্তী গ্রামের লোকজন এসে তাদের রক্ষা করেন। বিষয়টি সুহেদ তাৎক্ষনিক থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে অবহিত করলে থানাকে সরেজমিন পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সুহেদকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে সুহেদ ঘটনার দিনই ১৩/৩/২০২৩ইং তারিখ বিকালেই অভিযুক্ত ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু এজাহার পাওয়ার পর ওসি তদন্তের নামে ১২ দিন সময় কালক্ষেপণ করেন। ১৩ দিনের মাথায় আজ ২৩/৩/২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার ভোরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক উপজেলা পরিষদের অর্থায়নের সরকারি টাকায় নির্মিত রাস্তাটির মাটি কেটে ফেলে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। বিষয়টি সুহেদ আবারও ওসিকে জানালেও তিনি তাও আমলে নেননি। এমনকি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
এ ব্যাপারে ওসি রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিনি একজন এসআই কে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর কেন মামলা রেকর্ড হলোনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি অভিযুক্তদের পক্ষেই সাফাই গাইতে থাকেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুহেদ জানান, সরকারি টাকায় জমিনের পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মানাধিন কালবার্ডের জন্য আমি কাউকে চাঁদা দিবো কেন? চাঁদা না দেওয়ায় সরকারি কাজে ওরা বাধা দিয়েছে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি কিন্তু ওসি অভিযুক্তদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। আজ বৃহস্পতিবার এজাহারের উল্লেখিত ব্যক্তিরা সরকারি টাকায় নির্মিত মাটির রাস্তাটি কেটে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে। ঐ বিষয়টিও আমি ওসি রফিকুল ইসলামকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি তাও আমলে নেননি। বাধ্য হয়ে আমি আদালতের আশ্রয়ে যাবো।

Advertisements
৭৮ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।