চট্টগ্রাম রেলের স্ক্রাপ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর সিজিপিওয়াই হতে তিনটি ট্রাক ( ফেনী- ট ১১-০৪৫৭, ঢাকা মেট্রো-ট ১৬-৪৮৩৪ ও ঢাকা মেট্রো-ট ১৬-৬৩৩৪) রেলের স্ক্রাপ পাচারের ফেনী- ট ১১.০৪৫৭ গাড়িটি আনুমানিক দুপুর ০১.০০ টার সময় ডিপো থেকে বাহির হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
স্থানীয় সূত্র জানায় রাত ০৯.০০ টার সময় ফেনী- ট ১১-০৪৫৭ গাড়িটি আটক করে মিরসরাই হাইওয়ে থানার পুলিশের এসআই বোরহান উদ্দিনের কাছে বুঝিয়ে দেয়। এক ঘন্টা পর গাড়িটি ছেড়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, গত সোমবার ৯ সেপ্টম্বর সকালে ৩টি ট্রাক হেড টিএক্সআর ডিপোর সামনে এনে শ্রমিক নেতা রাশেদুল আলম বাবলু ও নুর উদ্দিনের সহায়তায় পূর্বের ন্যায় মাল বোঝাই করে গাড়ি বের করে দেয়। ট্রাক ভর্তি মাল মিরসরাই থানার আশে-পাশে গিয়ে ধরা পড়ে। ধরা পড়ার পর জানা যায় কোন প্রকার কোন ডকুমেন্টস ছাড়া মালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কোন ডকুমেন্টস ছাড়া স্ক্রার্পগুলো শাহাদাৎ হোসেন আজাদ কিভাবে দিল আর গেইটে দায়িত্বরত আরএনবি কিভাবে এই গাড়িকে যেতে দিল? নিশ্চয়ই এটির সাথে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কোন না কোন ভাবে জড়িত।মিরসরাই হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন আটককৃত গাড়ির রেলওয়ে যন্ত্রাংশ কাগজপত্রের বিষয়ে মুঠোফোনে বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যাচ্ছে ইসুনোট, গেইট পাস নাই। কিন্তু মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ-এ গেইট পাস দেখালে রাত ১০.০০ টায় গাড়িটি ছেড়ে দিয়েছি।
হেড টিএক্স আর মোঃ শাহাদাৎ হোসেন আজাদকে অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোনে বারবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। টিএক্সআর মোঃ জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ইস্যুনোট ও গেইটপাস ছাড়া গাড়ি বাহির হওয়ার কোন সুযোগ নেই। গেইটের দায়িত্বে থাকা আরএনবি এসআই ফরহাদ বলেন, আমি তিনটা এক সাথে গেইটপাস পেয়েছি বিকাল ৫টার সময়। স্ক্রাপ পাচারের বিষয়ে জানতে সিএমই/ই তাপস কুমার দাস কে মুঠো ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।