ভোলা প্রতিনিধি:ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটে ইতেকাফে না বসার মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ ইয়ামিন নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হাত-পা এবং মুখ বন্ধ করে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ হাবিব এর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার দুলারহাট থানাধীন আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের কক্ষে এই নেকার জনক ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাবা দুলারহাট থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী ইয়ামিন বর্তমানে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অভিযোগ পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অমানুষিক শিক্ষকের হাতে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন এর ছেলে। আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সে।
মাদ্রাসার পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইয়ামিন ও তার বাবা মোহাম্মদ হোসেনের জোড়ালো অভিযোগ ইয়ামিনকে ২০ রমজানে ইতেকাফে বসতে বলেন মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ হাবিব। কিন্তু মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইয়ামিন ইতেকাফে না বসে বাসায় চলে যান এবং ২০ রমজান রাতে বাসায় থাকে। এর পর (সোমবার) সকালে ইয়ামিন মাদ্রাসায় আসলে অমানুষিক শিক্ষক মোঃ হাবিব টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বেধরক মারধর করে থাকেন। আহত অবস্থায় ইয়ামিনকে (সোমবার) তারবারির পর থেকে (মঙ্গলবার) বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসার বদ্ধ আটকিয়ে রাখেন শিক্ষক অমানুষিক শিক্ষক হাবিব। পরে খবর পেয়ে (মঙ্গলবার) বিকেল বেলা মোহাম্মদ হোসেন ছেলেকে স্থানীয় লোকজন সহ তারে উদ্ধার করেন। এবং চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করান, এবং দুলারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাবিব পলাতক রয়েছে, তার কারণে সহকারী শিক্ষক হাবিবের কোনো সাক্ষাৎ কার নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার অনেকে জানান, মাদ্রাসার ছাত্র ইয়ামিনকে মারধর করার কারনে সহকারী শিক্ষক হাবিবকে মাদ্রাসা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মোহতামিম সাহেব সৌদি আরব থেকে ওমরা হজ্জ করে দেশে আসলেই অভিযুক্ত হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ গণমাধ্যমকে জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।