সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিত একটি চক্র। এ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিত একটি চক্র। চক্রের লোকজন বিভিন্ন সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আসল পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্যজনকে দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়াতেন।
তারা গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির (১১-২০ গ্রেড) শূন্য পদে নিয়োগের লিখিত পরিক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করেন এবং ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ানোর চেষ্টা করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৩১ মার্চ) জেলা শহরের সিঙ্গার মোড়ে অবস্থিত হোটেল একাত্তরের নিচতলা থেকে এ চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুন চর গ্রামের বেলায়েত হুসাইনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম লিটন (৪৪), ভোলা সদরের মেদুয়া গ্রামের সামছল হক খানের ছেলে মো. আমান উল্লাহ (৩২) ও রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চর নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মণ্ডলের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (৩৯)।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নেওয়া নগদ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ব্ল্যাংক চেকের পাতা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে রোববার গ্রেপ্তার করা তিনজনসহ মোট সাতজনের নামে রাজবাড়ী সদর থানার মামলা দায়েরের পর সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।