
কিন্তু ব্যস্ততার এ যুগে কারই বা এত সময় আছে? চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়, এমন কিছু কন্ডিশনার তৈরি করার পদ্ধতি জেনে নিই:
নারিকেল তেল এবং মধু:
অনেক কাল ধরে নারিকেল তেল চুলের সার্বিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে লরিক এসিড আছে যেটি চুলে অধিক মাত্রায় প্রোটিন যোগ করে। মধু চুলের জেল্লা বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
যা যা লাগবে:চার টেবিল-চামচ নারিকেল তেল,দুই টেবিল-চামচ মধু।
প্রণালি: দুটো উপাদান একটি বাটিতে নিয়ে নাড়তে থাকুন এবং একটু ঘন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চুল শ্যাম্পু করার পর এ কন্ডিশনার দিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং অতঃপর ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী কন্ডিশনারের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
জলপাই তেল এবং পেপারমিন্ট তেল:
জলপাই তেল চুলকে ক্ষতিকর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করার পাশাপাশি চুলকে নরম করে তোলে। পেপারমিন্ট তেল চুল বড় করতে সাহায্য করে। এমনকি মাথার তালুতে কোন ইনফেকশন হলেও সেটি প্রতিরোধ করে।
যা যা লাগবে: আট টেবিল-চামচ জলপাই তেল,নয় ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল।
প্রণালি:উপাদানগুলো একত্রে মিশিয়ে ঘন পেস্টে পরিণত করুন। চুল শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।
ভিনেগার এবং ডিমের কুসুম :
ডিম লেসিথিনে পরিপূর্ণ, এটি চুলকে নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। ভিনেগার চুলের উকুন, খুশকি এবং তালুর অন্যান্য সমস্যা থেকে চুলকে সহজ ও স্বাভাবিক রাখে।
যা যা লাগবে: দুইটি ডিমের কুসুম,চার টেবিল-চামচ সাদা ভিনেগার,দুই টেবিল-চামচ জলপাই তেল কিংবা নারিকেল তেল,এক টেবিল-চামচ মধু ।
প্রণালি: ডিমের কুসুম প্রথমে বাটিতে ফেটে নিন। এবার ভিনেগার, জলপাই তেল এবং মধু যোগ করুন। হালকা ঘন মিশ্রণে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। চুল শ্যাম্পু করার পর এ মিশ্রণ চুলে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এ রেসিপিতে অন্তর্গত তেল আপনার চুল নরম ও কোমল রাখবে এবং মধু চুলে ময়েশ্চার যোগ করবে।