ঢাকাশুক্রবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চোরাচালান পণ্যসহ আটক—পরে মুক্তি; সালুটিকর এলাকায় পুলিশের ভূমিকায় সমালোচনা

rising sylhet
rising sylhet
ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ads

সিলেটের গোয়াইনঘাট টু-সালুটিকর রাস্তা চোরচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। এসব চোরাচালানের পন্য সীমান্ত এলাকা হয়ে সালুটিকর রাস্তা দিয়ে সিলেট ঢুকছে। পুরুষ চোরাকারবারির সাথে যোগ দিয়েছে নারী সদস্যরাও। এমন এক দূর্বষ মহিলা চোরাকারবারি হচ্ছেন। গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল ইউনিয়নের বীরকুলী (মাঝপাড়া) শহরে গ্রামের লায়লা বেগম। গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ বেলা ৩ ঘটিকায় সালুটিকর বাজারে অভিযান চালিয়ে সালুটিকর পুলিশ ফাড়ির এএস, আই সারওয়ার বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পন্যসহ লায়লা বেগম ও তার অন্যতম সহযোগী আনিসুজ্জামান সাকি এবং চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি

অটোরিকশা যার নং ১২-৪০০৯ আটক করেন। পরে প্রায় ১লাখ ৫ হাজার (দেড় লক্ষ) টাকা ঘুষের বিনিময়ে মহিলা চোরাকারবারি লায়লা বেগম ও চোরাচালানে ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে চোরাচালানের অভিযোগে চোরাকারবারি লায়লা বেগমের মেয়ের জামাই এয়ারপোর্ট খানার পিরেরগাও গ্রামের চুলেমান মিয়ার পুত্র আনিসুজ্জামান সাকি (৩৫) কে একমাত্র আসামী করে এএস.আই (নিঃ) সারওয়ার বাদী হয়ে একটি মামলা মোহাম্মদ দায়ের করেন। মামলা নং- জি আর ৩০০/২০২৫। এ নিয়ে ওটা এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চোরাকারবারি লায়লা বেগম তোয়াকুল ইউনিয়নের বীরকুলীমাঝপাড়া গ্রামের প্রবাসী বাবুল মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, সে দীর্ঘদিন থেকে মেয়ের জামাই আনিসুজ্জামান সাকিকে নিয়ে চোরাচালান ব্যবসায় জড়িত হয় এবং চোরাচালান পন্য তার নিজ গৃহে রাখে। ঘটনার দিন বেলা আড়াইটার সময় লায়লার বীরকুলী গ্রামের নিজ ঘর থেকে সিলেট-থ:-১২-৪০০৯ অটোরিক্সা যোগে চোরাচালানের পণ্য নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। স্থানীয় মনতলা বাজার পৌঁছা মাত্র স্থানীয় লোকজন লায়লার গাড়িতে চোরাচালান পণ্য দেখতে পেয়ে এএসআই সারওয়ারকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি চোরাচালান পন্যসহ লায়লা ও তার মেয়ের জামাই আনিসুজ্জামান সাকিকে এবং চোরাচালানে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি আটক করেন। পরে দীর্ঘ সময় রফাদফার পর বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ধৃত লায়লা ও অটোরিকশাটি ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ ব্যাপারে বীরকুলী গ্রামের এক প্রবীণ মুরব্বি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকে লায়লার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করে যাচ্ছি, এখন চোরাচালান পন্য সহ হাতে নাতে আটকের পর অজানা কারণে তাকে ছেড়ে দিল পুলিশ, এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজি সহ উর্ধ্বতন মহলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করবো। এ বিষয়ে জানতে এ.এস.আই সরওয়ারের ব্যবহারকৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চোরাই মালের মালিক আনিসুজ্জামান সাকি (৩৫) তাকে চোরাচালান মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম তালুকদারের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা। এ ব্যাপারে সিলেট জেলার সদস্য বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, অপরাধের সত্যতা পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এসপি অফিস।

সূত্র দৈনিক পর্যবেক্ষণ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।