ঢাকারবিবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছাতকে ইয়াবা মনিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

rising sylhet
rising sylhet
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ ১:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর তীরের মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে ট্রাক চালকসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকেলে। এ ঘটনায় মাটি খেকো কথিত সাংবাদিক সাজ্জাদ মাহমুদ মনিরসহ চার ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে প্রশাসনের হাতে। সে সাংবাদিকের লেভেল পরিধান করে এলাকায় সিন্ডিকেট করে সেজেছে গডফাদার।

জানা যায়, হেমন্তে সুরমা নদীর তীরে জেগে উঠে চর। এই চরের মাটির দিকে টার্গেট করে মাটি খেকোরা। গত কয়েকদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এখান থেকে মাটি অবৈধ ভাবে বিক্রি করে আসছিল কথিত সাংবাদিক নামধারী সাজ্জাদ মাহমুদ মনির সিন্ডিকেট। প্রতিদিনের ন্যায় গত শুক্রবার সকাল থেকে সুরমা নদীর ছাতক লাফার্জ ফেরিঘাটের দক্ষিন বাগবাড়ি এলাকায় মাটি কেটে ট্রাক যোগে অবৈধ ভাবে বিক্রি করা হচ্ছিল। এমন সংবাদ পেয়ে ছাতক আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়কের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বৈধ কোন প্রমান দেখাতে পারেনি। বিষয়টি অবহিত করা হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু নাছের। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধ ভাবে বালু মাটি উত্তোলনের অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ছাতক পৌরসভার বাশখালা গ্রামের জুবেদ আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৩৮) ও উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৃত আবদুল হেকিমের ছেলে ট্রাক চালক মখলিছ মিয়া (৪০) কে। ট্রাকে ভর্তি মাটি পুনরায় কর্তন স্থানে ফেলার পর ট্রাকটিও (সিলেট-ড-১১-০১৬৮) জব্দ করে যৌথবাহিনী।

এদিকে, গ্রেফতারকৃত আতাউর রহমান যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশ্যে জানিয়েছে, লাফার্জ হোলসিমের সাবেক ফেরি চালক, নোয়াখালি জেলার চাটখিল উপজেলার বানসা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে কথিত সাংবাদিক সাজ্জাদ মাহমুদ মনিরের কাছ থেকে তারা সুরমা নদীর তীরের মাটি টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছেন। এর আগেও এখান থেকে তার কাছ থেকে মাটি ক্রয় করে নিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আতাউর রহমান আরও জানায়, সাজ্জাদ মনির নামের ওই সাংবাদিক তাদেরকে বলেছে মাটি বিক্রির টাকা তারা চারজনে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। অন্যরা হলেন, জসিম উদ্দিন, নোমান ইমদাদ কানন ও খায়ের উদ্দিন।

সূত্রে জানা গেছে এই সাজ্জাদ মনির নামের কথিত সাংবাদিক নামধারী একজন ইয়াবা সেবনকারী। সে মাদকসহ সকল অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। ইয়াবা সেবনের তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রচার হয়েছিল। এতে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এছাড়া লাফার্জ ফেরিঘাট সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী বাসায় বসবাস করার সুযোগে এই কথিত সাংবাদিক সরকারী জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে মাটি, পাথর, বালু উত্তোলন করে এবং সরকারী অসংখ্য গাছ-গাছালি বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে পরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে তাকে সহযোগিতা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ও সওজ বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তারা। লাফার্জের ফেরি চলাচল অনেক আগে বন্ধ হলেও সরকারী বাসায় এখনও তার পরিবার বসবাস করে আসছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কৃঞ্চ কান্ত দাস বাদি হয়ে ২৮ ডিসেম্বর কথিত সাংবাদিক সাজ্জাদ মনিরসহ ৬জনের বিাদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-৩১) দায়ের করেন। ওই মামলায় মখলিছ মিয়া ও আতাউর রহমানকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, ছাতক পৌরসভার দক্ষিন বাগবাড়ি এলাকার মৃত বেনু মিয়ার ছেলে নোমান ইমদাদ কানন, মৃত সাদক আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন ও মৃত শানুর আলীর ছেলে খায়ের উদ্দিন। ##

৯৯ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।