ফজল উদ্দিন (ছাতক প্রতিনিধি)- সুনামগঞ্জের ছাতকে ৬৩জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ সেনা ক্যাম্প প্রধানের কাছে দিয়েছেন গ্রামবাসী। গেল শুক্রবার উপজেলা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক বরাবরে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন আবদুল মতিন। তিনি উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের বাগইন পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত মুছিম আলীর ছেলে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গ্রামে মদ গাঁজার আসর বসিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড সংঘটিত করছে মৃত মতিউর রহমানের ছেলে মাহবুব ও হাবিব, মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে সুয়েব ও মোশাহিদ আলীর ছেলে মোয়াজ। এর প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদী মানুষদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তারা। লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গেল ২৪ আগষ্ট সকালে গ্রামের লোকজনের গৃহপালিত গবাদিপশু বটেরখাল নদী থেকে পাড়ে উঠে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তসহ অন্যান্য লোকজনরা প্রাণ নাশক অস্ত্র দিয়ে গবাদিপশু রাস্তায় চলাচলে বাঁধা দেয় এবং গবাদিপশুর মালিকদেরকে মারপিটের চেষ্টা করে।
গ্রামের মদরিছ আলী, সাহাব উদ্দিন, ময়না মিয়া, আল আমিন, আক্তার হোসেনরা জানান, বটেরখাল নদীর দুই পাড়ে তাদের রয়েছে গরু গোচারণ ভূমি। গোচারণে গরু চরাতে দিলে নদী হয়ে উঠানামায় প্রতিপক্ষরা নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতনসহ রাস্তায় বেড়া দিয়ে গ্রামের মানুষ, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ গৃহপালিত গবাদিপশু চলাচলে বাঁধা দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গেল ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুরব্বি আবদুল মতিন।তারা আরও বলেন, রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণে চলাচল করতে গিয়ে গ্রামের কৃষক ময়নাধর, মদরিছ আলী, আবদুল আলিম শিপন ও সুজন মিয়ার ৪টি গরু মারা যায়। রাস্তা থেকে বাঁশের বেড়া অপসারণসহ মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি জানান গ্রামের মানুষ।