ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে আবাসিক হলে প্রবেশ ও হলে অবস্থান করতে পারবে না বহিষ্কৃতরা।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, একই ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনানকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত ৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বহিষ্কৃতরা হলেন – সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সাদমান হাফিজ, রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির বাঙালি বাশার, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মহসিন নাইম, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তৈমুর সালেহিন তাউস, সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী হৃদয় মিয়া ওরফে রাহাত হাসান হৃদয়, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ওরফে তানভীর ইশতিয়াক।
তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন শাহের অনুসারী বলে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ ২০২১-২২ শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন শাহের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মামুন শাহ গ্রুপের দুই কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা যায়।