নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের উমান প্রবাসী লুৎফুর রহমানের স্ত্রী পারুল আক্তার নামের এক গৃহবধূ তার পুত্রকে একটি ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বাঁচাতে গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইংরেজী তারিখ পারুল আক্তার তার ছেলে মোঃ আবির আহমদ (১৯)কে নিয়ে তিনি সিলেটের জিন্দাবাজার আর আর হসপিটালে চিকিৎসা করাতে যান। এতে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে ভর্তি দিয়ে দেন। কিন্তু ঐদিন রাতেই পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে এক চোর ধরা পড়েছিল। এই চোরকে মারপিট করার পর তার ছেলের নাম ঐ চোর বলেছে। এতে মেম্বার ফোন করে বলে তুমি কই? আমি বলি ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে। তখন হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। এসময় আমার সামন থেকে আমার ছেলেকে সন্ধেহজনক ভাবে ধরে নিয়ে যায় রুবেল ও কাজল। কিন্তু ঘটনাস্থলে না নিয়ে পাশ্ববর্তী আতাউর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় মেম্বারনী রাহেনা আক্তারের নির্দেশে মেম্বারনী ছেলে রুবেল, একই এলাকার কাজল ও আতাউর রহমান আমার ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে বেধরক মারপিট করে। তাদের এমন মারপিট দেখে আমি প্রতিবাদ করলে মেম্বারনী রাহেনা আমাকে হেনেস্তা করে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে পড়ে যাই। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্বার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঐ দিন রাতেই এ ঘটনা উল্লেখ না করে গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখ নবীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত টাওয়ার চোরির একটি মামলা হয়। মামলা নং১৯। এই মামলায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমার ছেলেকে আসামী করে জেল হাজতে প্রেরন করে। এ বিষয়টি তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে তিনি আবেদন করা হয়৷
এ ব্যাপারে ষড়যন্ত্র মামলা থেকে ছেলেকে বাচাঁতে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি কোন পথ খোঁজে না পেয়ে অবশেষে সুবিচার পাওয়ার আশায় হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন করেছি। রাহেনা মেম্বারনি আমার বাড়িতে গত কয়েক মাস পূর্বে ভাড়া ছিল। মেম্বারনী ও তার ছেলের চরিত্র ভাল না থাকায় তাদেরকে আমার বাড়ি থেকে বের করে দেই। এতে তারা আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় মেম্বারনির ছেলে রুবেল আমার ছেলেকে বলে যায়, ভবিষ্যতে তর সাথে দেখা হবে। সেই দিনের কথা আজ সে আমার ছেলেকে চোর বানিয়ে জেলে দিল। আমার ছেলে মানুষিক ভারসাম্যহীন রোগী। কখন যে তার কি হয় তা বলতে পারছিনা। আমি অসহায় একজন মানুষ। আমি আমার ছেলের সঠিক বিচার চাই।