ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন।
ঘটনাটি শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে ঘটে।
খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে মরহেদ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
খুন হওয়া মায়ের নাম রানু বেগম (৫৫)। ঘাতক ছেলে রাসেল (২২) ঘটনার পর পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি নিহতের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঢাকাতে থাকেন। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজ-খবর রাখেন না। বাকি তিন মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। রাসেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি তার বাবা-মাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করানো হয় তবে তিনি বাবা-মাকে খুন করে ফেলবেন। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে এ হত্যার বিচার করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন ধরে তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। তিনি আমাকেও মেরেছে। আমি স্থানীয় একটি মাদরাসায় বাবুর্চির কাজ করি। আমার ছেলে রাসেল দুপুর ২টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সঙ্গে সঙ্গে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছেন। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রানুর স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্য অনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন রানু। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।