২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জকিগঞ্জের কালিগঞ্জবাজারেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এসময় যানবাহন ভাঙচুরের একটি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪৫০/৫০০ জনকে আসামী রেখে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানের চক (খলাদাফনিয়া) গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মো. ফয়েজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ওমানে রয়েছেন। প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশেষ মহলের প্ররোচনায় পুলিশ ফয়েজ উদ্দিনের ভাই মাদ্রাসার শিক্ষক শারীরিক প্রতিবন্ধি রইছ উদ্দিনকেও চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার নিরীহ মানুষকে মামলায় অন্তরর্ভূক্ত করে হয়রানী করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে বুধবার (১৫ মার্চ) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিবন্ধি রইছ উদ্দিন একা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন।
রইছ উদ্দিন বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী বিয়ানীবাজারের মাথিউরা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। অন্যের সাহায্য ছাড়া যেখানে আমি চলাফেরা করতে পারি না, সেখানে আমাকেও ওই বিশেষ মহলের প্ররোচনায় চার্জশিটে ১০৩ নং আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া আমার ভাই ফয়েজ উদ্দিন ঘটনার দুই মাস আগে থেকে বৈধভাবে ওমানে অবস্থান করছেন। আমাদের প্রতিবেশী হেলাল আহমদের নেতৃত্বে ওই মহলের প্ররোচনায় আমাদের দুই ভাইকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া আরও অনেক নিরপরাধ ব্যক্তির নামও চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। আমরা যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
নিরীহ লোকদের মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হলে পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে তা পণ্ড করে দেয়। মামলা থেকে আমরা দুই ভাইসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ওই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।