
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চিয়া সিড ভেজানো পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে খাওয়া। এক গ্লাস পানীয় তৈরির জন্য দুই টেবিল চামচ চিয়া সিড ১০–১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখা হয়। খাওয়ার আগে এতে আধা চা–চামচ মধু যোগ করলে পানীয়টি আরও স্বাস্থ্যকর ও স্বাদে সমৃদ্ধ হয়।
চিয়া সিডে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, আর মধু হজমকে সহায়তা করে। ফলে একসাথে খেলে পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকার পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপনচিয়া সিড এবং মধু উভয়েই অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তন ধীর করে দেয় এবং শরীরের অভ্যন্তরে সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গ্রহণের ফলে ত্বকের নরম ভাব ও সতেজতা বজায় থাকে।
ঠান্ডা বা কাশি হলেও মধু পানীয়কে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বিশেষ কোনো স্বাস্থ্যসমস্যায় ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে মধু নেওয়া ঠিক নয়; প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উপকারী হলেও ভেজানো চিয়া সিড নিজেই অনেকের কাছে স্বাদে অতটা আনন্দদায়ক নাও হতে পারে। তবে সামান্য মধু যোগ করলে পানীয়ের স্বাদ বেড়ে যায়, ফলে নিয়মিত এই অভ্যাস বজায় রাখা সহজ হয়।
সতর্কতা হিসেবে বলা হচ্ছে, মধুতে শর্করা থাকে। এক চা–চামচ মধুতে প্রায় ২১ কিলোক্যালরি থাকে। তাই মধু অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়া বা রক্তের সুগার বৃদ্ধি হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালরি হিসাব করে পানীয় গ্রহণ করা জরুরি। এছাড়া খাঁটি মধু ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর, কারণ রাসায়নিক মিশ্রিত মধু যে কারও জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে।