জাফলংয়ে বেপরোয়া বালুখেকো চক্র-লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দায় সারছেন প্রশাসন!
প্রতিদিন হাজারো দর্শক ছুটে আসেন সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের সূন্দর্য উপভোগ করতে।জাফলং ব্রিজের ওপর দাঁড়ালে অথবা বা বল্লাঘাট এলাকায় গেলে নদীতে চোখে পড়বে বালুবাহী হাজারো কার্গো নৌকা। জাফলং বাজারেই হচ্ছে ব্রিজটির অবস্থান। ব্রিজসহ গোটা এলাকাই হচ্ছে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু কেউ মানছে না সরকারি সেই নির্দেশনা। জাফলং থেকে বালু নিয়ে ভাটিতে যাচ্ছে নৌকার সারি।
সরেজমিন আরো দেখা যায়, জাফলংয়ে বেপরোয়া বালুখেকো চক্র। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে লন্ডভন্ড হচ্ছে দেশের এ অন্যতম পর্যটন স্পটটি। বালুখেকোরা কোটি কোটি টাকার বালু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। স্থানীয় প্রভাবশালী এ চক্রের তান্ডবে বিরাণ ভ‚মিতে পরিণত হচ্ছে প্রকৃতিকন্যা খ্যাত জাফলং। তবুও নীরব প্রশাসন। থানার ওসি বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যেনো কিছুই জানেন না। ধরি মাছ না ছুই পানি সেই মতো দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র বলছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই বালু লুটপাটের মহোৎসবে নেমেছে চক্রটি। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দায় সারছেন প্রশাসন। একইভাবে নীরব রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরও। যার ফলে দৈনিক কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করছে জামাই সুমন, আলিম উদ্দিন ও ফয়জুল।
বিগত ২০২১ সালে ১৩ অক্টোবর বুধবার বালু ও পাথরখেকো সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও পরিবেশ ধ্বংসের মামলা দায়ের করেছিলেন আলিম উদ্দিনের পিতা মুক্তিযোদ্ধা ইনছান আলী নিজেই। তিনি অভিযোগ করে ছিলেন, মাত্র ৪ মাসে ওই সিন্ডিকেট জাফলংয়ের পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকা বা ইসিএ জোনে নির্বিচারে প্রায় ২০ কোটি টাকার বালু লুট করে পরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। সিলেটের আমল গ্রহনকারী ১০ নং আদালতে এই মামলা দায়ের করেছিলেন জাফলং নয়াবস্তি গ্রামের এই বাসিন্দা। আদালত মামলাটি গ্রহন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রির্পোট আর আলোর মুখ দেখেনি। তিনি তখন বলে ছিলেন, জাফলং মামার দোকানের বাসিন্দা জামাই সুমন, বিশ্বনাথের তেঘরী গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল ইসলাম, কান্দুবস্তি গ্রামের ফিরোজ আহমদ, আসামপাড়া গ্রামের শামসুল ইসলাম, লেঙ্গুরা এলাকার মুজিব ও লামা দুমকা গ্রামের সুবাস দাস। অবৈধ বালু লুটপাটে জড়িত রয়েছেন। এখন ইনছান আলীর ছেলে আলিম উদ্দিন ও তার ভাই সমেদ সরাসরি বালু লুটকারি চক্রের সদস্য।
চলমান,,,
https://fb.watch/mfnYPo5v_h/
৫২ বার পড়া হয়েছে।