জুড়ী উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত অফিসার্স ক্লাব দখল করে বসবাস করছেন জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো.আলা উদ্দিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে তিনি বসবাস করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ কারণে কোন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করেননি।
জানা যায়, উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন রয়েছে। ভবনের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে অফিসার্স ক্লাব। সেখানে কর্মকর্তারা বসে আড্ডা দেয়া, খেলা, সভা ইত্যাদিতে সময় কাটানোর কথা। কিন্তু সেই ক্লাবের একটি কক্ষ দখল করে বসবাস করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আলা উদ্দিন।
তিনি কোয়ার্টার বা ভাড়া বাসায় না থেকে দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস করে আসছেন। অথচ তিনি প্রতি মাসে বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়ার টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা খরচ না করে অফিসার্স ক্লাব দখল করে বিনা ভাড়ায় অবৈধ্য ভাবে বসবাস করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলায় কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনও ম্যাডামের সাথে উনার ব্যক্তিগত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইউএনও ম্যাডাম উনাকে ছাড়া কোথাও যান না, কোন কাজ করেন না। তাই আমরা এসব বিষয়ে কথা বলি না, ক্লাবেও যাই না। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উনি দীর্ঘদিন থেকে এখানে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আলা উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এটা অফিসার্স ক্লাবের ভবন। আগের ইউএনও মহোদয়গন সরকারি অনুষ্ঠান হলে আমাকে অফিসার্স ক্লাবে থাকার জন্য বলতেন। ইউএনও অফিসে সাইদুল নামের এক ছেলে কাজ করে। তার কোন বেতন না থাকায় আমি কিছু টাকা দিয়ে থাকি, সেটা দিয়ে তার বেতন দেয়া হয়। এভাবেই আমি অফিসার্স ক্লাবে থাকি। তবে প্রতিদিন থাকি না, সপ্তাহে দুই এক দিন থাকি।
অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী বলেন, উনি আরো আগে থেকেই সেখানে থাকছেন। অফিসার্স ক্লাব মুলতো অফিসারদের বিনোদন বা যে কোন কাজের জন্য। বিশেষ অসুবিধায় অনুমতি সাপেক্ষে কেহ হয়তো এক রাত থাকতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত কেহ থাকতে পারেনা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, আমি জানি তিনি দীর্ঘদিন থেকে এখানে থাকেন। তবে কীভাবে থাকেন সেটা আমার জানা নেই। অফিসার্স ক্লাবে স্কাউট-এর অফিস রয়েছে। এখানে কেহ থাকার কথা না।