মসজিদের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। শনিবার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে- আলাছ মিয়া, আকল মিয়া, আফসর মিয়া, মাম্মদ আলী, মইনুল ইসলাম, জরিমান বেগম, মুশাহিদ, হাসান মিয়া, শ্যামল মিয়া, জনি মিয়া, আনছব আলী, মুন্না আক্তার, আতর আলী, ইসলাম উদ্দিন, আফজল মিয়া, জাকির আলী, মোহাম্মদ আলী, আহম্মদ আলী, কালাম মিয়া, শাহিদ মিয়া, আব্দুল মিয়া, সুমন মিয়া, মিজান আলী, আমান আলী, রমজান আলী, ফারজাহান আক্তার, আতাবুর রহমান, বিল্লাল মিয়া, ইরফান মিয়া, হাবিবুর রহমান, এংরাজ মিয়া, সম্রাট মিয়া, আব্বাস আলী, জামান মিয়া ও সাদেক মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টঙ্গিরঘাট গ্রামের জামে মসজিদের ১৪ লাখ টাকা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় একই গ্রামের মুরুব্বি মোঃ তাইবুল্লাহ ও আলহাজ্ব মিয়ার মধ্যে। মসজিদের বর্তমানে কোন কমিটি না থাকায় ওই টাকা আলহাজ্ব মিয়া মসজিদের অন্য কোন কাজে লাগাতে চায়। আর তাউবুল্লাহসহ গ্রামবাসি উল্লেখিত পরিমান টাকা ব্যাংকে একাউন্ট করে রাখতে সম্মত হয়। এনিয়ে শুক্রবার রাতে এক বৈঠক হয় টঙ্গিরঘাট গ্রামে। এনিয়ে আলহাজ্ব মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তাইবুল্লাসহ গ্রমাবাসির। এরই জেরধরে শনিবার উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, মসজিদের টাকা নিয়ে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মো. তাইবুল্লাহ জানান, ১৪ লাখ টাকা মসজিদের ফান্ডের টাকা। আমিসহ গ্রামবাসি স্বচ্ছতার জন্যেই এই টাকা ব্যাংকে একাউন্ট করে রাখার জন্য বলেছি। কিন্তু আলহাজ্ব মিয়া, সত্তর মিয়াসহ কিছু লোকজন এই টাকা অথযা খরচ করতে চায়। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।