ড্রাম চুরির অপবাদে সিফাত (২২) নামের এক যুবককে মাহফিল থেকে তুলে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (০৩ মার্চ) পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার (০৪ মার্চ) মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় সিফাত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। সঙ্গে তার মা কহিনুর বেগম এবং ভাবি নাজমা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
তারা জানান, রোববার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সিফাতকে মাহফিল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে তার অণ্ডকোষে পদাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে কাফলা কচা আর স্টিল পাইপ দিয়ে বেধরক পিটুনি দেয় তাকে। এসময় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে স্বীকারোক্তি আদায় করে বলে জানায় সিফাত।
নির্যাতনের শিকার সিফাত বলেন, ওই রাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওরা আমাকে টক জাতীয় কিছু খাওয়ায়। আমাকে ওরা মেরেই ফেলতো। তবে কি কারণে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও খুন করেনি বুঝতে পারছি না। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা হলেন, একই গ্রামের সলেমান গাজী, রহমান গাজী, রহিম মোল্লা, রুবেল, বেল্লাল, শুভ।
সিফাত কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের মৃত অব. সেনা সদস্য সুলতান আহমেদের ছেলে।
কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম নাসির বলেন, এমন বর্বরোচিত একটা ঘটনায় আমি হতবাক হয়েছি। যে ছেলেটিকে মারা হয়েছে; সে ছেলেটি চোর না। একটা সহজ সরল ছেলে। অবশ্যই এ ঘটনার বিচার হতে হবে। আগে ছেলেটি সুস্থ হোক।
পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রকমের ঘটনা আমরা জেনে হাসপাতালে গিয়ে আহত সিফাতের জবানবন্দি নিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিফাতের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ভাই পুলিশকে জানিয়েছে। আগে ছেলের চিকিৎসা তারপরে মামলা করতে চাই। আমি আমার ছেলের ওপরে যে নির্যাতন হয়েছে তার বিচার চাই।