দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে গত ১ আগস্ট ঢাকাদক্ষিণ সরকারি ডিগ্রি কলেজে ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে সভা’ করার ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ এরশাদ আলীর (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারিবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষক ও কর্মচারিবৃন্দের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, অধ্যক্ষ শিক্ষকদের সাথে কোন আলোচনা না করেই সভা আহবান করেছিলেন এবং তাঁর এই সভার সাথে শিক্ষক-কর্মচারিদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়াও সভায় অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়ম, ছাত্রলীগের কতিপয় ছাত্রদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে শিক্ষকদের শাসানো, তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করা শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা দিতে বাধ্য করা, চলমান একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে প্রতি শিক্ষার্থীর থেকে ১শ টাকা করে অতিরিক্ত নেয়াসহ নানা অনিয়মের কথা সভায় তুলে ধরা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত মতে তিনি অবলিম্বে পদত্যাগ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগসহ পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহিম, ইউসুফ আলী, কুলসুমা বেগম, একেএম মাহমুদুল আলম মারুফ, প্রভাষক মোহাম্মদ আল মাসুদ, শারমিন আক্তার মুক্তা, সাইদ আহমদ হাসান রিমন, নন্দিতা পাল, শতাব্দি চক্রবর্তী, নাজমা খাতুন, বিধান চন্দ্র দাস, সাইফুল ইসলাম, নিরুপম চক্রবর্তী, জুলহাস মিয়া, মনির আহমদ, ইউনুছ চৌধুরী, ফাহমিদা আক্তার সেতু, প্রদর্শক নাজিম উদ্দিন, লাইব্রেরিয়ান খায়রুল ইসলাম শোয়েব, অফিস সহকারী আবুল কালাম লিমন, সাগর চন্দ্র দাস, অফিস সহায়ক মোশারফ হোসেন, আব্দুল জলিল প্রমুখ।