খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া আশার পথে আসামী শান্ত বিশ্বাসের সঙ্গে পরিচায় হয়। পরিচয়ের সুত্রধরে গত ২৯ জুন বিকেলে শান্ত বিশ্বাস মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে সাহেবের কবরখানার সামনে ডেকে নেয়। সেখান থেকে কৌশলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বিহারী কলোনীর মোড়ে অবস্থিত ৫নং আসামীর ভাড়া বাসায় নিয়ে আসামীরা পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমসহ ০৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ০৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল উক্ত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এবং র্যাব-১, ঢাকার একটি যৌথ আভিযানিক দল গতকাল ১৫ এপ্রিল শনিবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকার পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১০ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।