তরমুজের দাম বেশি রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের কর্মকর্তাদের সামনেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আশপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে শহরের পুরানবাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানে সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস।
এদিকে অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করায় ৫ দোকানিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মস্তফাপুর পাইকারি আড়ত থেকে ২৫০ টাকা করে প্রতিটি তরমুজ কিনে আনেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এই তরমুজ ২৮০ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেটি না করে প্রতি পিচ তরমুজ বিক্রি করছে ৫০০-৬০০ টাকায়। এমন খবরে অভিযানে গেলে সত্যতা মিলে। পরে জরিমানা করা হয় ৫ দোকানিকে। এ সময় বাকি দোকানিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ভোক্তার স্বার্থে নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। জরিমানার টাকা দেয়া শেষে অল্প লাভে তরমুজ বিক্রি করতে বললে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের হট্টগোল শুরু হয়। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে,মাদারীপুরে দুপুরে শহরের পুরানবাজারে বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে এমন খবরে অভিযানে যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে সত্যতা পাওয়ায় ৫ দোকানিকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এ সময় লিপু কনফেকশনারি ফল ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী বাবুল কাজীর সঙ্গে দুইজন ক্রেতার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।